আসসালামু আলাইকুম।আঞ্জুমাণ ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম।আপনাদের
উদ্দেশ্যে আজ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর ৫টি হাদীস উপস্থাপন করা হল।পর্যায়ক্রমে
আরো হাদীস আপনাদের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
১।নবী রাসুলের দেহ
মোবারক, মাটি স্পর্শ করতে পারে না।
"হযরত আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন- তোমরা জুমুআর দিন বেশি বেশি করে আমার উপর দুরুদ পড়। নিশ্চয়ই ফিরিশতারা এর উপর স্বাক্ষী থাকেন। আর যখন কেউ আমার উপর দুরুদ পড়ে, তখনই তা আমার নিকট পেশ করা হয়। আবু দারদা (রাঃ) বলেন- আমি জিজ্ঞাসা করলাম- ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ইন্তেকালের পরেও কি তা পেশ করা হবে ? উত্তরে তিনি বললেন- হ্যাঁ!, কেননা আল্লাহ তায়ালা জমিনের জন্য, সকল নবী রাসুলের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন।"
সূত্র: [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৬৩৭, ১৬৩৬, সুনানুস সাগীর লিল বায়হাকী, হাদীস নং-৪৬৯, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৭৮০, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৫৭২, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৪৮৫, মুসান্নাফে ইবনে আবী]
"হযরত আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন- তোমরা জুমুআর দিন বেশি বেশি করে আমার উপর দুরুদ পড়। নিশ্চয়ই ফিরিশতারা এর উপর স্বাক্ষী থাকেন। আর যখন কেউ আমার উপর দুরুদ পড়ে, তখনই তা আমার নিকট পেশ করা হয়। আবু দারদা (রাঃ) বলেন- আমি জিজ্ঞাসা করলাম- ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ইন্তেকালের পরেও কি তা পেশ করা হবে ? উত্তরে তিনি বললেন- হ্যাঁ!, কেননা আল্লাহ তায়ালা জমিনের জন্য, সকল নবী রাসুলের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন।"
সূত্র: [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৬৩৭, ১৬৩৬, সুনানুস সাগীর লিল বায়হাকী, হাদীস নং-৪৬৯, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৭৮০, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৫৭২, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৪৮৫, মুসান্নাফে ইবনে আবী]
২। দয়াল নবী উছিলাই গুনাহ মাফ।
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু 'আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে- রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
আমার খাতিরে আল্লাহ্ তায়ালা, আমার উম্মাতের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ও ভুল ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তার সে কাজ যা সে বাধ্য হয়ে করেছে।
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু 'আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে- রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
আমার খাতিরে আল্লাহ্ তায়ালা, আমার উম্মাতের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ও ভুল ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তার সে কাজ যা সে বাধ্য হয়ে করেছে।
সূত্র: [ইবনে মাজাহ্ (নং-২০৪৫)]
৩। নামাযের মাধ্যমে বান্দার গুনাহ ঝরে যায়।
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, "বান্দা যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন তার সমস্ত গুনাহ নিয়ে এসে তার মাথায় ও দুই কাঁধে রাখা হয়। যতবারই সে রুকু অথবা সিজদা করে, ততবারই তার থেকে গুনাহ ঝরে পড়তে থাকে।
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, "বান্দা যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন তার সমস্ত গুনাহ নিয়ে এসে তার মাথায় ও দুই কাঁধে রাখা হয়। যতবারই সে রুকু অথবা সিজদা করে, ততবারই তার থেকে গুনাহ ঝরে পড়তে থাকে।
সূত্র: [বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা
৩/১৬]
৪। মুসলমানের দোষ-ত্রুটি
গোপন রাখা।
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক কোন মুসলমানের দুনিয়াবী বিপদাপদের মধ্যে একটি বিপদও দূর করে দেয়, আল্লাহ্ তায়ালা তার পরকালের বিপদাপদের কোন একটি বিপদ দূর করে দিবেন। যে লোক দুনিয়াতে অন্য কারো অভাব দূর করে দেয়, তার দুনিয়া ও আখেরাতের অসুবিধাগুলোকে আল্লাহ্ তায়ালা সহজ করে দিবেন। যে লোক দুনিয়ায় কোন মুসলমানের দোষ-ত্রুটিকে গোপন রাখে, আল্লাহ্ তায়ালা দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। যে পর্যন্ত বান্দাহ তার ভাইয়ের সাহায্য-সহযোগিতায় নিয়োজিত থাকে, সে পর্যন্ত আল্লাহ্ তায়ালাও তার সাহায্য-সহযোগিতায় নিয়োজিত থাকেন।
সূত্র: [তিরমিযি শরীফ ;হাদীস নঃ ১৯৩০]
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক কোন মুসলমানের দুনিয়াবী বিপদাপদের মধ্যে একটি বিপদও দূর করে দেয়, আল্লাহ্ তায়ালা তার পরকালের বিপদাপদের কোন একটি বিপদ দূর করে দিবেন। যে লোক দুনিয়াতে অন্য কারো অভাব দূর করে দেয়, তার দুনিয়া ও আখেরাতের অসুবিধাগুলোকে আল্লাহ্ তায়ালা সহজ করে দিবেন। যে লোক দুনিয়ায় কোন মুসলমানের দোষ-ত্রুটিকে গোপন রাখে, আল্লাহ্ তায়ালা দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। যে পর্যন্ত বান্দাহ তার ভাইয়ের সাহায্য-সহযোগিতায় নিয়োজিত থাকে, সে পর্যন্ত আল্লাহ্ তায়ালাও তার সাহায্য-সহযোগিতায় নিয়োজিত থাকেন।
সূত্র: [তিরমিযি শরীফ ;হাদীস নঃ ১৯৩০]
৫। রোগ মুক্তির
উদ্দেশ্যে যমযমের পানি পান করা।
হযরত আবু যার রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমযমের পানি সম্পর্কে বলেন, ‘উহা বরকতময় পানি। উহা খাদ্যের কাজ করে।
সূত্র: [সহীহ মুসলিম- ২৪৭৩]
হযরত আবু যার রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমযমের পানি সম্পর্কে বলেন, ‘উহা বরকতময় পানি। উহা খাদ্যের কাজ করে।
সূত্র: [সহীহ মুসলিম- ২৪৭৩]