ইসলাম যখন শ্রমিকের অধিকারের কথাবলেছিল, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলোর জন্মও হয়নি। ইসলাম শ্রমিকের অধিকারের কথা বলেছিল দেড়হাজার বছর আগে, আর মানবাধিকার সংস্থাগুলো সেটা শুরু করেছে বিগতশতাব্দি থেকে। ইসলাম শ্রমিকের যতোগুলো অধিকার নিশ্চিত করেছিল, মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার সবগুলো এখনো পর্যন্ত বলেও শেষ করতে পারেনি। শ্রমিকের যে মর্যাদা ও অধিকারের কথা বলেছে ইসলাম , তার ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ।শুধু আজকের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবির সাথে
তুলনার সুবিধার্থে কয়েকটি উল্লেখ করছি। {১} শ্রমিক তোমার ভাই, তুমি যা খাবে সেই ধরণের খাবার তাকে খেতে দিতে হবে, তুমি যা পরবে সেই ধরণের পোশাক তাকে পরতে দিতে হবে। -বোখারী ২৫৪৫ {২} যে মালিক তার শ্রমিকের সাথে বসে আহার করবে, সে অহংকারমুক্ত। -বাইহাকী ৭৭০৪ {৩} জনৈকি ব্যক্তি প্রশ্ন করলো- কাজের লোকদেরকে কতোবার ক্ষমা করবো আমরা? একই প্রশ্ন তিনবার পুনরাবৃত্তির পর আল্লাহর রাসুল সা: ইরশাদ করেছেন-দিনে ৭০বার করে ক্ষমা করবে। (অর্থাৎ সব সময় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে) -আবু দাঊদ ৫১৬৪ {৪} আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো স্ত্রীলোক, অধীনস্থ কিংবা শ্রমিকদেরকে প্রহার করেন নি। -মুসলিম ২৩২৮ {৫} শ্রমিককে তাঁর ক্ষমতার বাইরে কাজ চাপিয়ে দিবেনা। তাকে কোন কাজের দায়িত্ব দিলে সেটা সম্পাদনে সহায়তা করবে। -বোখারী ২৫৪৫ {৬} শ্রমিকের শরীরের ঘাম শুকিয়ে যাবার পূর্বে তাঁর প্রাপ্য পরিশোধ করবে। -ইবনে মাজা ২৪৪৩ {৭}সাহাবী আনাস রা. বলেন- আমি ১০বছর আল্লাহর রাসুলের কাজ করেছি। কোনদিন তিনি আমাকে (বিরক্ত হয়ে) উফ বলেন নি। কখনো বলেন নি, অমুক কাজটি কেন করলে? অথবা তমুক কাজটি কেন করলে না? -বোথারী ৫৬০৭ {৮} কেয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরোদ্ধে আমি নিজে প্রতিপক্ষের ভূমিকায় থাকবো। তাদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হলো সে, যে তার শ্রমিককে নিয়োগ করার পর তার থেকে তার কাজ বুঝে নিয়েছে অথচ সে তাকে তার প্রাপ্য দেয় নি। -বোখারী ২২২৭ {৯} শ্রমিককে দিয়ে কোন কিছু আনলে তা থেকে যৎসামান্য হলেও তাকে খেতে দিবে। বোখারী ৫০৬৬ {১০} তুমি তোমার শ্রমিকের উপর আরোপিত কাজ কমিয়ে দিলে সেটি তোমার সৎ আমলে গণ্য করা হবে। -ইবনে হিব্বান ৪৩১৪
তুলনার সুবিধার্থে কয়েকটি উল্লেখ করছি। {১} শ্রমিক তোমার ভাই, তুমি যা খাবে সেই ধরণের খাবার তাকে খেতে দিতে হবে, তুমি যা পরবে সেই ধরণের পোশাক তাকে পরতে দিতে হবে। -বোখারী ২৫৪৫ {২} যে মালিক তার শ্রমিকের সাথে বসে আহার করবে, সে অহংকারমুক্ত। -বাইহাকী ৭৭০৪ {৩} জনৈকি ব্যক্তি প্রশ্ন করলো- কাজের লোকদেরকে কতোবার ক্ষমা করবো আমরা? একই প্রশ্ন তিনবার পুনরাবৃত্তির পর আল্লাহর রাসুল সা: ইরশাদ করেছেন-দিনে ৭০বার করে ক্ষমা করবে। (অর্থাৎ সব সময় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে) -আবু দাঊদ ৫১৬৪ {৪} আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো স্ত্রীলোক, অধীনস্থ কিংবা শ্রমিকদেরকে প্রহার করেন নি। -মুসলিম ২৩২৮ {৫} শ্রমিককে তাঁর ক্ষমতার বাইরে কাজ চাপিয়ে দিবেনা। তাকে কোন কাজের দায়িত্ব দিলে সেটা সম্পাদনে সহায়তা করবে। -বোখারী ২৫৪৫ {৬} শ্রমিকের শরীরের ঘাম শুকিয়ে যাবার পূর্বে তাঁর প্রাপ্য পরিশোধ করবে। -ইবনে মাজা ২৪৪৩ {৭}সাহাবী আনাস রা. বলেন- আমি ১০বছর আল্লাহর রাসুলের কাজ করেছি। কোনদিন তিনি আমাকে (বিরক্ত হয়ে) উফ বলেন নি। কখনো বলেন নি, অমুক কাজটি কেন করলে? অথবা তমুক কাজটি কেন করলে না? -বোথারী ৫৬০৭ {৮} কেয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরোদ্ধে আমি নিজে প্রতিপক্ষের ভূমিকায় থাকবো। তাদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হলো সে, যে তার শ্রমিককে নিয়োগ করার পর তার থেকে তার কাজ বুঝে নিয়েছে অথচ সে তাকে তার প্রাপ্য দেয় নি। -বোখারী ২২২৭ {৯} শ্রমিককে দিয়ে কোন কিছু আনলে তা থেকে যৎসামান্য হলেও তাকে খেতে দিবে। বোখারী ৫০৬৬ {১০} তুমি তোমার শ্রমিকের উপর আরোপিত কাজ কমিয়ে দিলে সেটি তোমার সৎ আমলে গণ্য করা হবে। -ইবনে হিব্বান ৪৩১৪